নিজেকে জয়ী ঘোষণা করলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এখন ম্যাজিক ফিগারের খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন, যার মানে তার জয় প্রায় নিশ্চিত। ট্রাম্প বর্তমানে ২৬৭টি ইলেকটোরাল ভোটে এগিয়ে আছেন, অপর দিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ২১৪টি ভোটে এগিয়ে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে জয়লাভ করেছেন, যেখানে ১৯টি ইলেকটোরাল ভোট ছিল। এই রাজ্যটি জয়ের পর তার মোট ভোট সংখ্যা ২৬৭টি নিশ্চিত হয়েছে, যা তাকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। এছাড়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, মিশিগান, মিনেসোটা ও আলাস্কায়ও ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। গত নির্বাচনে এসব রাজ্যে সুবিধা করতে না পারলেও এবার দারুণভাবে ফিরে এসেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের এখন আর মাত্র কয়েকটি ইলেকটোরাল ভোটের প্রয়োজন, এবং রিপাবলিকান সমর্থকরা এখনই আনন্দে মেতে উঠেছেন। আলাস্কা ও হাওয়াই রাজ্যের ভোটগণনা শেষ হওয়ার পর, বেশিরভাগ দোদুল্যমান রাজ্যেও ট্রাম্প এগিয়ে আছেন।
সংশ্লিষ্ট
ভারতের হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা আর নেই। ৪২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শেফালীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।অভিনেত্রীর স্বামী অভিনেতা পরশ ত্যাগী তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত শেফালীর মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।২০০২ সালে ‘কাঁটা লাগা’ গানের রিমেক ভিডিওতে পারফর্ম করার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন শেফালী। এরপর তেমন উল্লেখযোগ্য আর কোনো প্রজেক্টে কাজ করতে না পারলেও সেই ‘কাঁটা লাগা’ গানের কারণেই তাকে মনে রেখেছেন ভক্তরা। ২০১৯ সালে রিয়েলিটি শো বিগ বস ১৩-তেও অংশগ্রহণ করেছিলেন মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রী।
একসময় যাকে ‘অভেদ্য’ বলে মনে করা হতো, দখলদার ইসরাইলের সেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে একের পর এক ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে দখলদার এই দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। অত্যাধুনিক আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং, অ্যারো, এমনকি থাড (THAAD) এর মতো বিশ্বসেরা ডিফেন্স সিস্টেমও যেন ইরানের নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের মুখে পুরোপুরি অপ্রতিরোধ্য নয়। যদিও ইসরাইল দাবি করছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ হামলা সফলভাবে ঠেকিয়ে দিচ্ছে, তবে কিছু সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্রমাগত অনুপ্রবেশ সামরিক বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ইরান এই দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙে দিচ্ছে? এর পেছনে কি নতুন কোনো কৌশল, নাকি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার?ইরানের এসব হামলায় ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলের বেশ কিছু আবাসিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী তেলআবিবে অবস্থিত দেশটির সামরিক সদরদপ্তর ‘কিরিয়া’তেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।মঙ্গলবার ইরান দাবি করে, তারা ইসরাইলের একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং মোসাদের একটি পরিকল্পনা ঘাঁটি ধ্বংস করেছে।ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষার কেন্দ্রে রয়েছে ‘আয়রন ডোম’। এটি শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে তার গতিপথ নির্ধারণ করে এবং মাঝপথেই ধ্বংস করে দেয়। ২০১১ সাল থেকে ব্যবহার হওয়া এই ব্যবস্থা সাধারণত স্বল্পপাল্লার রকেট ঠেকাতে কাজে লাগে।তবে আয়রন ডোম ছাড়াও ইসরাইলের আছে একাধিক স্তরের প্রতিরক্ষা। বারাক-৮ মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকায়। ডেভিড’স স্লিং মাঝারি থেকে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করে। থাড, অ্যারো-২ ও অ্যারো-৩ দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়।এছাড়া, ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরায়েল যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারও ব্যবহার করে।আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মূল উপাদান তিনটি। প্রথমত, রাডার শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে। কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার সিদ্ধান্ত নেয় ধেয়ে আসা কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হবে। এরপর লঞ্চার প্রতিরোধ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। শত্রুপক্ষের প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে সাধারণত প্রতিরোধকারী দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবারের হামলায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৮০-৯০ শতাংশ কার্যকর ছিল। অর্থাৎ বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে ইরানের কয়েকটি সম্ভাব্য কৌশল রয়েছে। ইরান একযোগে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যস্ত করে ফেলে, যাতে প্রকৃত হামলাগুলো প্রতিরোধ করা না যায়।ইরান দাবি করে, তাদের ফাত্তাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল যুক্ত—যা শব্দের চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ দ্রুতগতিতে চলতে পারে এবং অনির্ধারিত গতিপথ অনুসরণ করে, ফলে একে থামানো কঠিন।ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অপেক্ষাকৃত ধীরগতির হলেও এগুলো মাটি থেকে খুব অল্প উচ্চতা দিয়ে উড়ে এবং দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজে ভেদ করতে পারে। ইরানের হোভেইজেহ এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র।ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে ড্রোন বা ভুয়া (ডিকয়) ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায়, যাতে রাডারে সেগুলো সত্যিকারের হুমকি মনে হয় এবং মূল হামলা বাধাহীনভাবে পৌঁছে যেতে পারে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র রাডার প্রতিরোধকারী প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে, যাতে সেগুলো রাডারে ধরা না পড়ে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যুদ্ধ প্রতিপক্ষের অস্ত্রের মজুত নিঃশেষ হওয়া পর্যন্ত চলতে পারে। অর্থাৎ, দীর্ঘমেয়াদে কে কত ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা বজায় রাখতে পারে—তা নির্ধারণ করবে যুদ্ধের গতিপথ।ইরান কত দিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যেতে পারবে, আর ইসরাইল কত দিন অ্যারো-২ ও অ্যারো-৩ প্রতিরোধ ব্যবস্থা চালু রাখতে পারবে তা এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান যখন পাল্টা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে তখন, দুদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ভারত চাচ্ছে এই অবস্থার উন্নতি, তারা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উত্তেজনা না বাড়ার আশা করছে।পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) লে. জেনারেল আসিম মালিক জানিয়েছেন, ভারতের এনএসএ প্রধান অজিত দোভাল দুদেশের মাঝে চলা উত্তেজনা কমাতে চাচ্ছে। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা আলোচনায় আছেন।’তবে তিনি আলোচনার বিষয়বস্তু কিংবা দুদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার মাঝে কী নিয়ে কথা হচ্ছে, তাও বলেননি।পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যোগাযোগের বিষয়টি এই উত্তেজনার মুহুর্তে খুব জরুরি। ধারণা করা হচ্ছে, দুদেশের উপদেষ্টাদের মাঝে এই যোগাযোগ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কৌশলী এবং ব্যাকডোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সম্ভব হয়েছে।পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) যদিও বলেছে, ইসলামাবাদ নিজের ইচ্ছামতো সময়, স্থান ও পদ্ধতি বেছে নিয়ে ভারতের হামলার জবাব দেবে। তারপরও জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বক্তব্যের মধ্যে আরও পাল্টা জবাব না দেওয়ার ইঙ্গিতই বেশি ছিল।সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় একটি দেশ পাকিস্তানকে ভারতের আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে আগাম সতর্ক করেছিল। একই সূত্রে জানা গেছে, ভারতও গোপনে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছে—তাদের আর উত্তেজনা বাড়ানোর ইচ্ছা নেই। ভারতের এনএস দোভাল অন্যান্য কয়েকটি দেশের এনএসকে আশ্বস্ত বলেছেন, ভারতের উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।
রপর দুটি সুপারহিট: ‘অ্যানিমেল’ ও ‘পুষ্পা ২’। রাশমিকা মান্দানার সাফল্যের উড়ান ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী। পুষ্পার সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি ব্লকবাস্টার উপহার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই দক্ষিণি তারকা। শিগগিরই তাঁকে ‘ছাবা’য় দেখা যাবে। এ ছবিতে বলিউড তারকা ভিকি কৌশলের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন তিনি। অনেকে ধরে নিয়েছেন, লক্ষ্মণ উতেকর পরিচালিত ছবিটিও বক্স অফিস কাঁপাবে।ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোও বলছে, আরেক সফলতার কাহিনি লেখার পথে রাশমিকা। সফলতার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সুখ-সুবিধা, লাক্সারি জীবনযাত্রা—সব কিন্তু সাময়িক। সব সময় আমি নিজের শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকার চেষ্টা করি। এত বছর কাজ করার সুবাদে অনেক বড় মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছি। আকাশছোঁয়া সফলতা পাওয়ার পরও তাঁরা মাটিতে পা রেখে চলেন। আর তাঁরা সফলতাকে নিজেদের মাথায় চড়তে দেননি।’ রাশমিকা তাঁর অনুরাগী, পাপারাজ্জিদের সঙ্গে সব সময় বিনম্র ব্যবহার করে থাকেন। মিষ্টি স্বভাবের জন্য সবার হৃদয়ে রাজত্ব করছেন এই অভিনেত্রী, হয়ে উঠেছেন ‘জাতীয় ক্রাশ’। এ প্রসঙ্গে রাশমিকা বলেছেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে “বিনম্র” হওয়ার জন্য আমাকে আলাদা করে কিছু করতে হয় না।কারণ, আমি এ রকমই এক মানুষ। আমার মাথায় এ বিষয়ে সবকিছু স্পষ্ট। আমি মনে করি, আমরা যা কিছু পছন্দ করি, যেসব সুযোগ-সুবিধার মজা নিই, তা যেমন একপলকে আসে, আবার পলকের মধ্যে চলে যেতেও পারে। আমার ব্যবহারই আমাকে মাটির সঙ্গে জুড়ে রেখেছে৷ আমাকে শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে।’‘ছাবা’ ছবিতে ভিকি কৌশলকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের ছেলে বীর যোদ্ধা সম্ভাজি মহারাজের ভূমিকায় দেখা যাবে। সম্ভাজি মহারাজের স্ত্রী মহারানি ইয়েসু বাইয়ের চরিত্রে আসতে চলেছেন রাশমিকা। ছবিটি ১৪ ফেব্রুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাবে। #entertainment #rashmika #goodvibes #News